About Us.. জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে বেঁচে থাকার
উদ্দেশ্য জানা প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা করতে পারেন তাহলে, পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর অবস্থিত প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। কিন্তু শতকরা ৯০ জনেরই জীবনের লক্ষ্য নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। আপনি যদি নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে না থাকেন তাহলে এখনই উদ্যোগ নিন।
আর নিজেকে প্রশ্ন করুন-
১। কি করতে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে?
২। আমি কি করতে চাই?
৩। শেষ কখন আমার জীবনকে অর্থপূর্ণ মনে হয়েছিল?
৪। আমার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কি?
৫। কে আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়?
প্রতিটি প্রশ্নকে মনের গভীরে ছেড়ে দিন। আশায় বা একদিনে জবাব নাও আসতে পারে। প্রয়োজনে একাধিকবার বসুন। জবাব আপনি
পাবেনই। প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়ার পর আবার নিজেকে প্রশ্ন করুন -
১ আমার এই গুলোকে বাস্তবায়িত করার পথে বাধা কি?
২। কেন আমার চাওয়ার বাস্তবায়িত হচ্ছে না?
৩। আমার নিজের এমন কি দুর্বলতা আছে যার কারণে আমি পারছি না?
জবাব পাওয়ার জন্য আবার নিজেকে সময় দিন। মনের গভীর থেকে জবাব আসতে দিন।জবাব এলে কাগজে লিখে রাখুন। আমার চোখ বন্ধ করুন।নিজেকে প্রশ্ন করুন।
১। পাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরিত করার জন্য আমার মধ্যে কি কি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন?
২। নিজের জীবনের উদ্দেশ্যকে এবং নিজেকে প্রকাশ করার জন্য আমি কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি?
প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিন। প্রয়োজনে আত্মনিমগ্ন থাকুন। জবাব পাওয়ার পর পুনরায় কাগজে লিখে ফেলুন। আবার চোখ বন্ধ করুন।নিজের মাঝে ডুবে যান। নিজেকে প্রশ্ন করুন এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমার করনীয় কি?
কারো কাছে উত্তর পেতে সহযোগিতা প্রত্যাশা করবেন না। উত্তর আপনার নিজের ভেতরেই আছি। আসার সাথে সাথে এক এক করে তা লিখে ফেলুন।আর, করণীয় কাজগুলো এক এক করে শুরু করে দিন। একটি একটি করে পদক্ষেপ নিন। যত ছোট পদক্ষেপে এই হোক না কেন,শুরু করুন। কারণ, হাজার মাইলের অভিযাত্রা শুরু হয় একটি ছোট পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই। দীর্ঘ সময় ও আলস্য কি প্রশ্রয় দেবেন না। সময় নষ্ট করবেন না। এখনো সময় আছে, মতো পদক্ষেপ নিলেই আপনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। বিশ্বাস রাখুন, আন্তরিকতার সাথে করা এই একটি মাত্র অনুশীলন আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে। নিজের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে পরিণত হলে আপনি পাবেন অনন্য এক সফল মানবকে। সফলতা নিঃসন্দেহে অনেক বড় ব্যাপার। আর যেকোনো বড় নির্মাণ বা স্থাপনার ভিত্তি হচ্ছে ছোট ছোট ইট। সুস্থতা সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার।
আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে
মানব দেহ এক অপূর্ব সৃষ্টি। মহাবিশ্বের এতো চমৎকার, এত বুদ্ধিমান, এত সৃজনশীল, এত সংবেদনশীল আর কোন সৃষ্টির অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি। এই দেহে রয়েছে সত্তর থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ। কোষের খাবার পৌঁছানোর জন্য রয়েছে ৬০ হাজার মাইল পাইপ লাইন। রয়েছে ফুসফুসের মত রক্তশোধনাগার। হার্টের মত শক্তিশালী পাম্প, যা জীবন দশায় সাড়ে চার কোটি গ্যালনের চেয়ে বেশি রক্ত পাম্প করে থাকে। রয়েছে চোখের মত ছোট লেন্স, দিয়ে বিশাল বিশ্বের সবকিছু দেখা যায়। আর এই দেহের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে সার্কুলেটরি, নার্ভাস, এন্ড্রো কাইন, ইমিউন সিস্টেমের মতো অসংখ্য সিস্টেম।
তাই আমাদের সবার মধ্যে সুস্থ থাকার ক্ষমতা রয়েছে। সুস্থতা স্বাভাবিক। অসুস্থতা অস্বাভাবিক। আজ পর্যন্ত এ কথা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে, রোগগ্রস্ত তা হওয়া প্রয়োজন। বরং সত্য হচ্ছে এর বিপরীত। প্রতিদিন আমরা কোটি কোটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, এলার্জি, ফান্গাস ইত্যাদির মুখোমুখি হচ্ছি এবং অতি ক্ষুদ্রংশই রোগ পর্যন্ত গড়ায়। আপনি জানেন যে, দৈহিক ফিরোজ ক্ষমতা ছাড়াও আমাদের প্রত্যেকেরই রোগের বিরুদ্ধে মানসিক প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। যারা রোগ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তায় ভোগে তারা সহজেই রোগাক্রান্ত হয় আর যারা ব্যস্ত, ' রোগ নিয়ে ভাবার সময় পায়না ' তাদের গড়পরতা স্বাস্থ্য অনেক ভালো।
আমরা অসুস্থ হই কেন?
মানব দেহ অপূর্ব সৃষ্টি হলেও বহতা নদীর মতই মানব দেহের প্রতিটি পরমাণু পরিবর্তিত হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অক্রিজ ল্যাবরেটরীতে রেডিও আইসোটোপ মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে যে,মানবদেহের 98% পরমাণু প্রতিবছর পরিবর্তিত হয়। আর এই পরিবর্তন নিয়ন্ত্রিত হয় ডিএনএ তে বিদ্যমান জেনেটিক কোড দ্বারা, মন -দেহ প্রক্রিয়ার কোয়ান্টাম লেভেল থেকে। হচ্ছে মানবদেহের শতকরা 98 ভাগ পদার্থ প্রতিবছর পরিবর্তিত হওয়ার পরেও রোগ - বিশেষত ক্রনিক রোগ থেকে যায় কিভাবে?
এর উত্তর একটাই। বস্তু পরিবর্তিত হচ্ছে কিন্তু তথ্য অর্থাৎ টি এম এর প্রোগ্রামিং অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে। তাই নতুন পদার্থ ও পুরনো তথ্য দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে। তাই পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন মন দেহ নিয়ন্ত্রণকারী তথ্যভাণ্ডার পূর্ণ বিন্যাস।
(To change the print out of the body, you must learn to rewrite the software of mind ) তথ্যের পূর্ণবিন্যাস হলেই মানবদেহ নিজেই নিজেকে রোগ মুক্ত করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার পর বলেছে, মন সেরা ডাক্তার আর মানব দেহ সবচেয়ে সেরা ফার্মেসি '। যেকোনো ঔষধ কোম্পানির চেয়ে মানবদেহে বেশি ভালোভাবে পেইন কিলার, ট্রাঙ্কুলাইজার, এন্টিবায়োটিক ইত্যাদির তৈরি করতে এবং সঠিক মাত্রায় সঠিক সময় ব্যবহার করতে পারে।
রোগের মূল কারণ মানসিক
মনের শক্তিকে ব্যবহার করে রোগ নিরাময়ের সম্ভব হবে কেন? ঔষধ যা নিরাময় করতে ব্যর্থ হয়েছে, সে রোগ মনের শক্তি দিয়ে কিভাবে নিরাময় হতে পারে? এর জবাব একদিক থেকে বেশি জটিল আবার অন্য দিক থেকে সহজ। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ ও গবেষণার পর এখন স্বীকার করতে শুরু করেছে যে, রোগের কারণ যেমন দৈহিক হতে পারে, তেমনি হতে পারে মানসিক। বহু জটিল রোগ, এমনকি ক্যান্সারের কারণও হতে পারে মানসিক।
মার্কিন হূদ রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর. ক্রিস্টন দীর্ঘগবেষণা পর দেখিয়েছেন যে, হৃদরোগের কারণ প্রধানত মানসিক। তিনি বলেছেন, কোলেস্টোরেল বা চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে করোনারি আটারিকে প্রায় ব্লক করে ফেললেই যে হার্ট অ্যাটাক হবে এমন কোন কথা নেই। কোরিয়ার যুদ্ধের সময় রণক্ষেত্রে নিহত সৈনিকদের শতকরা 70 জননেরই আটারি চর্বি জমে প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে ( চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে অ্যাডভান্স স্টেজ অফ এথেলেস ক্লোরোসিস ) এবং দ্রুত হার্ট অ্যাটাকের পথে এগোচ্ছে। এদের মধ্যে ১৯ বছর বয়স্ক তরুণ সৈনিকও ছিল। ডাক্তার ক্রিস্টন প্রশ্ন তোলেন, তরুণ আটারি গুলো এভাবে চর্বি জমে বন্ধ হওয়ার পরও সাধারণভাবে মধ্য বয়সে এসে কেন হৃদরোগের আক্রমণ ঘটে? যদি শুধু করোনারী আটারিতে চর্বি জমাটাই হৃদরোগের কারণ হতো তাহলে তো এই তরুণ সৈনিকদের ও মৃত্যুগুলি আঘাতে নয় হৃদরোগই হত। আবার দেখা গেছে আটারির ৮৫ ভাগ বন্ধ অবস্থা নিয়েও ১জন ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছে ', আবার একেবারে পরিষ্কার আটারি নিয়েও অপর একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সাইট এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সানফান্সশিখর D. মিয়ার ফ্যাট ম্যান এবং ডক্টর রে রোজেন ম্যান দীর্ঘ গবেষণার পর দেখান যে, রোগের সাথে অস্থির চিত্রতা, বিদ্বেষ প্রতিহিংসা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবন পদ্ধতির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
হাভাডের ফিজিওলজিস্ট ওয়ালটার ক্যানন ১০০ বছর আগেই গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যখন ভাবাবেকজনিত চাপ বা উৎকণ্টার সম্মুখীন হয় তখন শরীর নানাভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। রক্তে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণের পাশাপাশি হৃদকম্পন বেড়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, মলাশয় এর তৎপরতা বাড়ি, মূত্রাশয় সহজে সংকুচিত হয়। ডাক্তার হাবাট বেনসন এবং ডাক্তার এড মন যাক বর্ষণ এই টেনশন বা উৎকণ্টার কারণে শ্রেষ্ঠ রোগের দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছেন। এই তালিকায় রয়েছে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, বাতব্যথা, বিষন্নতা বদমেজাজ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডায়রিয়া, বহুমূত্র, ঘাড়ে ব্যথা, মেরুদন্ডে ব্যথা, ইত্যাদি। ডাক্তার জোসেফ মারলো তার টোটাল হেলথ প্রোগ্রাম বইয়ে দেখিয়েছেন, প্রতিবছর শুধু আমেরিকাতেই স্টক ঘটিত শারীরিক, মানসিক জটিলতার কারণে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। রোগ ও অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য প্রথম প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবন চেতনার পরিবর্তন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, শতকরা সত্তর ভাগ রোগের কারণেই হচ্ছে মানসিক। অর্থাৎ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার মানসিক মানসিক প্রক্রিয়ায় সত্তর ভাগ রোগ সৃষ্টির কারণ। শতকরা 20 ভাগ রোগের কারণ হচ্ছে ইনফেকশন, ভাইরাস আক্রমণ, ভুল খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যায়াম না করা। শতকরা ১০ ভাগ রোগের কারণ হচ্ছে দৈহিক আঘাত, ঔষধ ও অপারেশনের প্রতিক্রিয়া। তাই শতকরা সত্তর ভাগই শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সুস্থ জীবন দৃষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে নিরাময় হতে পারে। অনন্যর রোগ নিরাময় ঔষধ ও সার্জারির পাশাপাশি সুস্থ জীবন দৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পাশ্চাত্য চিকিৎসা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে প্রচলিত পাশ্চাত্য চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত ঔষধ রসায়ন এবং অপারেশন নির্ভর পদ্ধতি।আলোড়ন সৃষ্টিকারী হিলিং - এর প্রবক্তা ডক্টর দীপক চোপড়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রোগীরা এক আক্রমণাত্মক যান্ত্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার শিকার। চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং যান্ত্রিকতাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবছর শতকরা ৩৬ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী। একটি মার্কিন সাময়িক বিশেষ নিবন্ধে বলা হয়, রসায়নীর ঘরে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন হয়ে উঠেছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ব্যবস্থা আসলে হয়ে উঠেছে ' চিকিৎসা ব্যবসায় ' চিকিৎসা বাজার '। আর এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বীমা কোম্পানি ঔষধ কোম্পানি ও চিকিৎসা প্রযুক্তি নির্মাণ কারখানার মালিকেরা। ব্যবস্থার বিরুদ্ধে খুব শুধু রোগীদের ওই নয়, চিকিৎসা দানকারী বহু কর্মীর ও। ডক্টর রবিন্স এ অবস্থার জন্য সম্পর্কে রোগীদের ভ্রান্ত ধারণাকেও দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, এরা মনে করে যে, সুস্থতা বা নিরাময় ডাক্তার ড্রাগস্টার বা হাসপাতালে রয়েছে। ডাক্তার তাদেরকে ট্যাবলেট দিয়ে ভালো করে দেবেন। এ আশায় রোগীরা ডাক্তারের পর ডাক্তার আর ঔষধের পর ঔষধ বদলায়। কিন্তু নিরাময় লাভ করতে ব্যর্থ হয়। ডাক্তার রবিনস বলেন, আসলে নিরাময়ের ক্ষমতা, মুক্তির ক্ষমতা রোগীর মধ্যেই রয়েছে। ডাক্তার শুধু সহায়ক শক্তি মাত্র।
নিজের দায়িত্ব নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে
নব্য চিকিৎসা ধারণার প্রবর্তক ডাক্তার ডিন অর্নিশ, ডাক্তার দীপক চোপড়া, ডাক্তার লেরী দোষী, ডাক্তার রবিন্স, বাণী সিজেন, তার ক্রিশ্চিয়ান নর্থট্রফ, ডাক্তার হাবার্ট বেনসন, ডাক্তার জোয়ান বোরিংকও, ডাক্তার এন্ড্রো ওয়েলস, ডাক্তার এডওয়ার্ক টাউপ, ডাক্তার তার মিকাইল senuels প্রমুখ বডি, মাইন্ড, স্পিরিট সাময়িকির ১৯৯৭ সালের বিশেষ সংখ্যায় ' একদিন শতকের স্বাস্থ্য প্রসাধ্য কাহিনীতে ব্যর্থহীন কন্ঠে মত প্রকাশ করেছেন যে, সুস্থ থাকতে হলে নিজের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে। নিজেকে নিরাময় করার ক্ষমতা প্রতিটি মানুষের সহজাত ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। এই সহজাত ক্ষমতার সাথে নিজের বিশ্বাসকে সম্পৃক্ত করতে পারলে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার শতকরা ৯০ ভাগ খরচ হয় অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। কারণ বাইপাস সার্জারি, এনজিও প্লাস্টিক, বা সারা জীবন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রক ঔষধ সেবনের চাইতে জীবন দৃষ্টি পরিবর্তন করে জীবনধারা পরিবর্তনে খরচ অনেক অনেক কম।ডাক্তার হাভার্ড বেনসন বলেন, একজন মানুষ নিজে নিজেই মেডিটেশন, এম ও পুষ্টি সংক্রান্ত জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং তার নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারে। সুস্থ জীবন দৃষ্টিকে স্মরণ করে স্বাস্থ্য নিরাময়ের দায়িত্ব আপনার নিজেকেই নিতে হবে। ডাক্তার, সবই হবে আপনার সহযোগী শক্তি। আর এজন্য আপনার জীবন দৃষ্টি ও জীবনধারাকে বদলাতে হবে।বিশ্বাস করতে হবে যে, আমি সুস্থ হব।
নিরাময়
আর দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবন চেতনা পরিবর্তনের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে জীবন দৃষ্টি। জীবন দৃষ্টির নিরাময়ের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুস্বাস্থ্য অর্জনের এক শাশ্বত প্রক্রিয়া নিরাময়। গত দশক ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাদ্য অভ্যাস ও সুস্থ জীবন দৃষ্টির ফর্মুলা প্র্যাকটিস করে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ঠান্ডা এলার্জি, হাঁপানি, ফ্রোজেন, সোল্ডার ব্যাক পেইন, স্প্যান্ডিলাইসিস, মাইগ্রেন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, আর্থ্রাইটিস, অনিদ্রা, সহ জটিল কঠিন ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করেছেন।
এজন্যই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছি ব্যাক টু নেচার
আপনাকে আমাকে প্রকৃতির দিকে ফিরে আসতে হবে। আবার প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে জীবন যেদিন সাঙ্গ হবে দেহ থেকে মন বা আত্মা পরলোক গমন করবে তখনো প্রকৃতির কাছেই যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই প্রকৃতির সাথেই বসবাস করি
সব্বাইকে ইহার উপর আমল করার তৌফিক দান করো ইয়াহ আল্লাহ।